নভেম্বর ২, ২০২৫
অক্টোবর ২৬, ২০২৫
অক্টোবর ১৯, ২০২৫
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
অক্টোবর ৬, ২০২৫
opinion
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ২৩৭ জন প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ৩০০ আসনের মধ্যে বাকিগুলো জোটের শরিকদের জন্য এবং কিছু আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করার জন্য রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা ঘোষণা করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিনটি আসন (ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩) থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই ঘোষণার আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এক জরুরি বৈঠকে বসে। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, যেখানে প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করতে পারে এবং নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির প্রার্থীর তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো–
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের হালনাগাদ ভোটার তালিকার সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। ইসি সচিবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায়, ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন পুরুষ ভোটার এবং ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটারের সংখ্যা হলো ১ হাজার ২৩ জন। সচিব আখতার আহমেদ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, এই সর্বশেষ হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় ভোটারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন বেড়েছে। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নারী ভোটারের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬ হাজার ৯১০ জন বেশি। ইসি ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই তালিকা হালনাগাদের কাজ করে। এই হালনাগাদের আগে (গত ৩১ আগস্ট), দেশের মোট ভোটার ছিল ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন। ইসির তথ্যমতে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ, এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তা ছিল ৯ কোটি ১১ লাখ। প্রথম আলো/শফিক
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় চলন্ত মেট্রোরেল লাইনের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের (কেআইবি) সামনের ফুটপাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম আবুল কালাম, যিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন নিশ্চিত করেছেন, ভারী ধাতব বস্তুটি (বিয়ারিং প্যাড) ওই পথচারীর মাথায় আঘাত করায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে আবুল কালাম ব্যাগ হাতে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় মেট্রোরেল পিলারের ওপর থেকে বিকট শব্দে বস্তুটি নিচে এসে পড়ে। বস্তুর আঘাতে পথচারী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার ফলে পথচারীদের মাঝে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনার পরপরই মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে অবশ্য উত্তরা-আগারগাঁও-উত্তরা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রয়েছে। এটি প্রথম দুর্ঘটনা নয়; এর আগেও গত বছর সেপ্টেম্বরে ফার্মগেট এলাকাতেই মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যদিও সেবার কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে সেই ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। প্রকৌশল সূত্র বলছে, এই বিয়ারিং প্যাডগুলো মূলত ট্রেন চলাচলের সময় লাইনের কম্পন শোষণ করে কাঠামোর স্থিতি রক্ষা করে এবং এর প্রতিটির ওজন ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। বারবার এই ধরনের যন্ত্রাংশ খুলে পড়ার ঘটনা মেট্রোরেল প্রকল্পের নকশা ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর প্রশ্ন তুলছে। মেট্রোরেলের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফার্মগেটের খেজুরবাগান মোড়ে নির্মাণ নকশায় ত্রুটি ছিল এবং জাপানিজ ঠিকাদারদের এই বিষয়ে ঠিক করতে বলা হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। এদিকে, নিহত আবুল কালামের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং পরিবারের কোনো কর্মক্ষম সদস্যকে মেট্রোরেলে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে বলে সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুর্ঘটনা নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, এটি নিরাপত্তা জনিত গুরুতর গাফিলতির ফল। দুর্ঘটনার পর এলাকার দোকানদার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে ট্রেন চলাচলের সময় অস্বাভাবিক শব্দ ও কম্পন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। ঢাকাবাসী এখন মেট্রোরেলের নিচে দিয়ে চলাচল করতেও আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
সর্বশেষ প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সংখ্যা চার লাখের সমান। বর্তমানে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা "জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫" অনুযায়ী বেতন পান। জানার বিষয় হলো একজন শিক্ষক যিনি শিক্ষাদান করেন তিনি কি পরিমান টাকা বেতন হিসেবে পান। তবে বাস্তবতা হলো এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত নানান বৈষম্য নিয়ে প্রতিনিয়ত বর্তমানে সরকারের নিকট আন্দোলন চলমান। জানা যাক এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো সম্পর্কে। অর্থাৎ একজন ইন্ডিভিজুয়াল শিক্ষক কত টাকা বেতন পান এবং বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান। এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কারা? এমপিও (MPO) হলো Monthly Pay Order। এটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (যেমন: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন-ভাতা প্রদানের একটি প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীরা সরকার থেকে মূল বেতনের শতভাগ এবং কিছু নির্দিষ্ট ভাতা পেয়ে থাকেন। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার ঘোষিত অর্থাৎ সরকারি তালিকাভুক্ত সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলা হয়, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি শিক্ষক নিয়োজিত থাকেন । তবে মনে রাখা ভালো সব শিক্ষকই এমপিও ভুক্ত নন। অর্থাৎ একজন শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত হতে হলে NTRCA নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু একটা জিনিস অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে , এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং একজন একজন সম্পূর্ণ সরকারি শিক্ষক এক নন। সম্পূর্ণ সরকারি শিক্ষকরা সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন-ভাতা পান এবং তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে সরকারি। অন্যদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হলেও সরকারের কাছ থেকে আংশিক আর্থিক সহায়তা পান। আর এই বৈষম্যের কারণেই সর্বশেষ এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা বেতন ভাতা নিয়ে বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনঃ শিক্ষাস্তর অনুযায়ী পদের নাম ও বেতন গ্রেড এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো তাদের পদের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় বেতন স্কেলের বিভিন্ন গ্রেডে নির্ধারিত হয়। ১. স্কুল ও মাদ্রাসা (মাধ্যমিক স্তর) পদের নাম গ্রেড মূল বেতন স্কেল (টাকায়) সহকারী শিক্ষক (বি.এড) গ্রেড ১১ ১২,৫০০ - ৩০,২৩০ সহকারী শিক্ষক (বি.এড ছাড়া) গ্রেড ১২ ১১,৩০০ - ২৭,৩০০ সিনিয়র শিক্ষক (১০ বছর পূর্তিতে) গ্রেড ১০ ১৬,০০০ - ৩৮,৬৪০ সহকারী প্রধান শিক্ষক / সহকারী সুপার গ্রেড ৯ ২২,০০০ - ৫৩,০৬০ প্রধান শিক্ষক / সুপার গ্রেড ৭ ২৯,০০০ - ৬৩,৪১০ দ্রষ্টব্য: উচ্চতর গ্রেড (সাধারণত ৬ষ্ঠ গ্রেড) পাওয়ার সুযোগও নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে রয়েছে। ২. কলেজ ও মাদ্রাসা (উচ্চ মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব) পদের নাম গ্রেড মূল বেতন স্কেল (টাকায়) প্রভাষক গ্রেড ৯ ২২,০০০ - ৫৩,০৬০ সহকারী অধ্যাপক (পদোন্নতিতে) গ্রেড ৭ ২৯,০০০ - ৬৩,৪১০ সহযোগী অধ্যাপক গ্রেড ৬ ৩৫,৫০০ - ৬৭,০১০ অধ্যক্ষ গ্রেড ৫ / ৪ ৪৩,০০০ - ৬৯,৮৫০ / ৫০,০০০ - ৭১,২০০ মূল বেতনের বাইরে যা পান (ভাতা) এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু ভাতা পান, যা সরকারি চাকরিজীবীদের থেকে ভিন্ন: বাড়ি ভাড়া ভাতা মাসিক ১,০০০ টাকা (স্থির)। চিকিৎসা ভাতা মাসিক ৫০০ টাকা (স্থির)। উৎসব ভাতা: শিক্ষক: মূল বেতনের ২৫% (বছরে দুবার)। কর্মচারী: মূল বেতনের ৫০% (বছরে দুবার)। বৈশাখী ভাতা: মূল বেতনের ২০% (বছরে একবার)। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট: মূল বেতনের ৫% (বছরে একবার)। বেতন থেকে যা কর্তন করা হয় প্রতি মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতন থেকে মোট ১০% অর্থ কর্তন করা হয়, যা তাদের অবসরকালীন সুবিধার জন্য জমা থাকে। অবসর সুবিধা বোর্ড মূল বেতনের ৬%। কল্যাণ ট্রাস্ট: মূল বেতনের ৪%। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে সরকারি শিক্ষকদের সাথে মূল পার্থক্য যদিও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত, তবে তাদের সাথে সরকারি শিক্ষকদের বেতন এবং ভাতার ক্ষেত্রে বেশ পার্থক্য রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকদের মাঝে আলোচনার বিষয়। সরকারি শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া হিসেবে পান মূল বেতনের ওপর নির্দিষ্ট হারে (শহর বা গ্রাম ভেদে ৪০-৬০%), যেখানে এমপিওভুক্তরা পান ফিক্সড ১,০০০ টাকা। চিকিৎসা ভাতা হিসেবে পান ফিক্সড ১,৫০০ টাকা, যেখানে এমপিওভুক্তরা পান ফিক্সড ৫০০ টাকা। অন্যদিকে উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের ১০০%, যেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ২৫%। এই পার্থক্যগুলো নিরসনের দাবিতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জাতীয় পে কমিশনের সঙ্গে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন- এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের প্রতিনিধিদল। তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ বেতন এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা করাসহ ১০ দাবি প্রস্তাব দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের হালনাগাদ ভোটার তালিকার সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। ইসি সচিবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায়, ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন পুরুষ ভোটার এবং ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটারের সংখ্যা হলো ১ হাজার ২৩ জন। সচিব আখতার আহমেদ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, এই সর্বশেষ হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় ভোটারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন বেড়েছে। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নারী ভোটারের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬ হাজার ৯১০ জন বেশি। ইসি ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই তালিকা হালনাগাদের কাজ করে। এই হালনাগাদের আগে (গত ৩১ আগস্ট), দেশের মোট ভোটার ছিল ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন। ইসির তথ্যমতে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ, এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তা ছিল ৯ কোটি ১১ লাখ। প্রথম আলো/শফিক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ২৩৭ জন প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ৩০০ আসনের মধ্যে বাকিগুলো জোটের শরিকদের জন্য এবং কিছু আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করার জন্য রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা ঘোষণা করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিনটি আসন (ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩) থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই ঘোষণার আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এক জরুরি বৈঠকে বসে। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, যেখানে প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করতে পারে এবং নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির প্রার্থীর তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো–
নভেম্বর ৩, ২০২৫
বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে এখন সবচাইতে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং - অনেকের কাছে এটি ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার আয় করার একটি সহজ প্রক্রিয়া মনে হয় তবে ব্যাপারটি যত সহজ ভাবা হয় ততটা সহজ নয়। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে মূলত আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একাধিক বিষয়ে কাজ শিখতে হবে। প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় আপনি এখন খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ করতে পারবেন।চাকরির অনিশ্চয়তার যুগে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার আশার আলো বর্তমান প্রজন্মে ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে ক্যারিয়ার গঠনের বিষয়ে অধিক মানুষকে আগ্রহী দেখা যায়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা বিভিন্নভাবে কৌতূহলী পোস্ট করে থাকেন। অনেকের কাছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার মত সঠিক গাইডলাইন নেই । যেহেতু বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা আর তাই এখানে যে কেউই ক্যারিয়ার করতে পারে যদি সে সঠিকভাবে এবং সঠিক গাইডলাইন মেনে কাজ করতে পারে। যারা জানে না কিভাবে শুরু করতে হয়; তাদের জন্য আমাদের এই বিস্তারিত প্রতিবেদন - ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব। দেশের বেকারত্বের হার অনুযায়ী একটা কথা অবশ্যই বলা যায় সেটা হল ফ্রিল্যান্সিং শেখা উচিত, কারণ এটি যেমন আপনার কাজের স্বাধীনতা দিবে তেমনি আপনার নিশ্চিত আয় দিবে । এটি সময় স্থান এবং আয়ের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিবে আপনাকে , যেটা অনেকটা পড়ালেখা করেও সম্ভব নয়। তবে আবার অনেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি আয়ের পথ খুলে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ এটি পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন, আর এটির প্রধান কারণ হলো বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং চাহিদা। ভাবছেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কি কাজ করবেন? মূল বিষয় হলো ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের ক্ষেত্রেও অনেক বিস্তৃত। এখানে ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্্ গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ভয়েস ওভার, ডাটা এন্ট্রি, ফটোগ্রাফি, ট্রানসলেশন সহ অসংখ্য ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া যায় বা কাজ করা যায়। এর মধ্যে আপনি যে কোন একটি বা একাধিক বিষয়ে দক্ষ হলেই আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। এখন মূল প্রশ্ন হল " ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব " , এই প্রশ্নের আসল উত্তর হল ফ্রিল্যান্সিং দুইভাবে শেখা যায়, অর্থাৎ আপনি যে কোন একটি স্কিল বেছে নিয়ে ফ্রিতে বিভিন্ন উপায়ে এবং পেইড কোর্স ক্রয় করে কাজ শিখতে পারেন । এরপরে মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্রিতে শিখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি কষ্ট করতে হবে আর যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে যে কোন আইটি সেন্টার থেকে বিশেষভাবে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখতে পারেন। যেহেতু সবাই সবকিছু জানে না তাই শুধু একটিমাত্র বা দক্ষতা অর্জন করায় উত্তম। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি যে কোন বিষয়ে নিজেকে অধিক দক্ষ মনে করেন তাহলে আপনাকে সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাওয়া উচিত। আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কোন জিনিসটা ভালো পারেন, যদি আপনি প্রোগ্রামিং ভাল পারেন তাহলে আপনার সেটা করা উচিত, যদি আপনার ভিডিও এডিটিং ভালো লাগে তাহলে আপনার ভিডিও এডিটিং প্রপারলি শেখা উচিত। এভাবে যার যার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অধিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা। আসলে আপনি যদি কোন কিছু পেতে হয় তাহলে কিছু তো দিতে হবে। অর্থাৎ এই কথাটি দ্বারা এটাই বুঝিয়েছি যে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। এখন আসি মূল টপিকে, ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক উৎস আছে। আজকাল ইউটিউবে পাওয়া যায় না এমন কোন বিষয় নেই, আর যে কোন বিষয়ে দরকার আপনি সেটা ইউটিউবে পেয়ে যাবেন শুধু দরকার আপনাকে সঠিকভাবে সার্চ করতে জানা। এর পাশাপাশি বর্তমানে বিভিন্ন এ আই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্টঃ চ্যাট জিপিটি , জিমিনি) এর সহায়তা নিতে পারেন। পাশাপাশি গুগল এবং বিভিন্ন ব্লগ থেকে আপনার সিলেক্ট করা বিষয়ের উপরে রিসোর্স পেয়ে যাবেন। এরপরে আসা যাক বিভিন্ন কমিউনিটি, অর্থাৎ দেখা যায় আজকাল বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা ফেসবুকে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সেই সব গ্রুপ কিংবা পেইজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আপনি শিক্ষা নিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা অর্জন হবে এবং বুঝতে পারবেন কোনটি আপনার করা উচিত এবং কোনটি অনুচিত। তারপর সব থেকে ভালো হয় আপনার যদি কোন পরিচিত কাছের লোক থাকে যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে তাহলে তার থেকে প্রপার গাইড নিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন, মনে রাখবেন যতটুকু শিখবেন ততটুকু দৈনিক প্র্যাকটিস করবেন। অনেক সময় বিভিন্ন জনপ্রিয় কোর্স প্রোভাইডার - ইউডেমি, কোরসেরা, স্কিলশেয়ার ফ্রিতে কোর্স প্রদান করে থাকে সেখান থেকেও কোর্সং সগ্রহ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। সবশেষে বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে বা শিখতে হলে প্রচুর অধ্যবসায় এবং ধৈর্য প্রয়োজন। আপনাকে যে কোন একটি বিষয় দক্ষ হলেই চলবে না, যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিবেন ওই বিষয়ের পাশাপাশি সম্পৃক্ত একটা একাধিক বিষয় আপনাকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কোন জাদু নয় , এটি একটি শেখার প্রক্রিয়া। আপনি যে বিষয়ে শিখবেন সেই বিষয়ে সাথে সাথে বিশদভাবে নোট করে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে ভুলে যাওয়ার কোনো চান্স না থাকে। নিয়মিত চর্চায় সফলতার মূল চাবিকাঠি। সঠিক দিকনির্দেশনা আর নিরলস পরিশ্রম থাকলে অনলাইনে নিজের যোগ্যতায় গ্লোবাল মার্কেটে জায়গা করে নেওয়া একদম খুবই সহজ।
সর্বশেষ প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সংখ্যা চার লাখের সমান। বর্তমানে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা "জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫" অনুযায়ী বেতন পান। জানার বিষয় হলো একজন শিক্ষক যিনি শিক্ষাদান করেন তিনি কি পরিমান টাকা বেতন হিসেবে পান। তবে বাস্তবতা হলো এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত নানান বৈষম্য নিয়ে প্রতিনিয়ত বর্তমানে সরকারের নিকট আন্দোলন চলমান। জানা যাক এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো সম্পর্কে। অর্থাৎ একজন ইন্ডিভিজুয়াল শিক্ষক কত টাকা বেতন পান এবং বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান। এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কারা? এমপিও (MPO) হলো Monthly Pay Order। এটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (যেমন: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন-ভাতা প্রদানের একটি প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীরা সরকার থেকে মূল বেতনের শতভাগ এবং কিছু নির্দিষ্ট ভাতা পেয়ে থাকেন। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার ঘোষিত অর্থাৎ সরকারি তালিকাভুক্ত সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলা হয়, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি শিক্ষক নিয়োজিত থাকেন । তবে মনে রাখা ভালো সব শিক্ষকই এমপিও ভুক্ত নন। অর্থাৎ একজন শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত হতে হলে NTRCA নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু একটা জিনিস অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে , এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং একজন একজন সম্পূর্ণ সরকারি শিক্ষক এক নন। সম্পূর্ণ সরকারি শিক্ষকরা সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন-ভাতা পান এবং তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে সরকারি। অন্যদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হলেও সরকারের কাছ থেকে আংশিক আর্থিক সহায়তা পান। আর এই বৈষম্যের কারণেই সর্বশেষ এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা বেতন ভাতা নিয়ে বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনঃ শিক্ষাস্তর অনুযায়ী পদের নাম ও বেতন গ্রেড এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো তাদের পদের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় বেতন স্কেলের বিভিন্ন গ্রেডে নির্ধারিত হয়। ১. স্কুল ও মাদ্রাসা (মাধ্যমিক স্তর) পদের নাম গ্রেড মূল বেতন স্কেল (টাকায়) সহকারী শিক্ষক (বি.এড) গ্রেড ১১ ১২,৫০০ - ৩০,২৩০ সহকারী শিক্ষক (বি.এড ছাড়া) গ্রেড ১২ ১১,৩০০ - ২৭,৩০০ সিনিয়র শিক্ষক (১০ বছর পূর্তিতে) গ্রেড ১০ ১৬,০০০ - ৩৮,৬৪০ সহকারী প্রধান শিক্ষক / সহকারী সুপার গ্রেড ৯ ২২,০০০ - ৫৩,০৬০ প্রধান শিক্ষক / সুপার গ্রেড ৭ ২৯,০০০ - ৬৩,৪১০ দ্রষ্টব্য: উচ্চতর গ্রেড (সাধারণত ৬ষ্ঠ গ্রেড) পাওয়ার সুযোগও নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে রয়েছে। ২. কলেজ ও মাদ্রাসা (উচ্চ মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব) পদের নাম গ্রেড মূল বেতন স্কেল (টাকায়) প্রভাষক গ্রেড ৯ ২২,০০০ - ৫৩,০৬০ সহকারী অধ্যাপক (পদোন্নতিতে) গ্রেড ৭ ২৯,০০০ - ৬৩,৪১০ সহযোগী অধ্যাপক গ্রেড ৬ ৩৫,৫০০ - ৬৭,০১০ অধ্যক্ষ গ্রেড ৫ / ৪ ৪৩,০০০ - ৬৯,৮৫০ / ৫০,০০০ - ৭১,২০০ মূল বেতনের বাইরে যা পান (ভাতা) এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু ভাতা পান, যা সরকারি চাকরিজীবীদের থেকে ভিন্ন: বাড়ি ভাড়া ভাতা মাসিক ১,০০০ টাকা (স্থির)। চিকিৎসা ভাতা মাসিক ৫০০ টাকা (স্থির)। উৎসব ভাতা: শিক্ষক: মূল বেতনের ২৫% (বছরে দুবার)। কর্মচারী: মূল বেতনের ৫০% (বছরে দুবার)। বৈশাখী ভাতা: মূল বেতনের ২০% (বছরে একবার)। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট: মূল বেতনের ৫% (বছরে একবার)। বেতন থেকে যা কর্তন করা হয় প্রতি মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতন থেকে মোট ১০% অর্থ কর্তন করা হয়, যা তাদের অবসরকালীন সুবিধার জন্য জমা থাকে। অবসর সুবিধা বোর্ড মূল বেতনের ৬%। কল্যাণ ট্রাস্ট: মূল বেতনের ৪%। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে সরকারি শিক্ষকদের সাথে মূল পার্থক্য যদিও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত, তবে তাদের সাথে সরকারি শিক্ষকদের বেতন এবং ভাতার ক্ষেত্রে বেশ পার্থক্য রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকদের মাঝে আলোচনার বিষয়। সরকারি শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া হিসেবে পান মূল বেতনের ওপর নির্দিষ্ট হারে (শহর বা গ্রাম ভেদে ৪০-৬০%), যেখানে এমপিওভুক্তরা পান ফিক্সড ১,০০০ টাকা। চিকিৎসা ভাতা হিসেবে পান ফিক্সড ১,৫০০ টাকা, যেখানে এমপিওভুক্তরা পান ফিক্সড ৫০০ টাকা। অন্যদিকে উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের ১০০%, যেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ২৫%। এই পার্থক্যগুলো নিরসনের দাবিতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জাতীয় পে কমিশনের সঙ্গে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন- এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের প্রতিনিধিদল। তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ বেতন এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা করাসহ ১০ দাবি প্রস্তাব দিয়েছেন।
গেল কদিন ধরে বিপিএলকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বড় গুঞ্জন উঠেছিল সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন এবং বরাবর হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের আশানুরূপ দল ফরচুন বরিশাল থাকছে না এবারের বিপিএল আসরে। তবে দলটির কর্ণধার মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে সবকিছু মিলে গেলেই বিপিএলে থাকবেন তারা। দেশের এক জাতীয় অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকের প্রশ্নে মিজানুর রহমান বলেছেন "দেখুন বিপিএলে অংশ নেব না কোথাও বলিনি এটা। তবে কিছু বিষয় রয়েছে, আমরা একটা অনুরোধ করেছি যে সময়টা একটু পেছানোর জন্য। কারণ কিছু সরঞ্জাম আনতে সময় লাগে, আমরা যে কারণে অনুরোধ করেছি একটু পেছানোর জন্য। বুলবুল ভাই দেশে আসলে আলোচনা করব বিস্তারিত।" সর্বশেষ বিসিবির নতুন কমিটির পরিচালকরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন নিয়ে বেশ নড়সড়ে বসেছেন নবনির্বাচিত এই কমিটি। প্রথম সভার পর বিপিএল কমিটির সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানান যে পরবর্তী বিপিএল ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিসিবি এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি সময়মতো আয়োজন করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আইএমজিকে দেওয়া হলেও, তাদের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি এখনও দেখা যায়নি। ইতিমধ্যে, বিসিবি দেশের ১০টি অঞ্চলের নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা দেওয়ার জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে 'এক্সপ্রেশন্স অব ইন্টারেস্ট' আহ্বান করেছিল। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ক্রাইটেরিয়া পূরণকারী পাঁচটি (সম্ভাব্য) প্রতিষ্ঠানকে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা দেবে বিসিবি। বিপিএল কমিটির সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু নিশ্চিত করেছেন যে একাধিক প্রতিষ্ঠান ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফিক্সিংয়ের সন্দেহে থাকা কোনো ক্রিকেটারকে আসন্ন খেলোয়াড় ড্রাফটে রাখা হবে না। এই সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত ও বিস্তারিত রিপোর্ট চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ আজকের পেঁয়াজের দাম কত জানুন। উল্লেখিত তথ্য হলো দেশে সর্বশেষ আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে, তখন ১৪৯ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকেছে তবে উক্ত সময়ে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও বর্তমানে আমদানিকৃত পেঁয়াজের যোগানের অভাবে দেশে পেঁয়াজের মূল্য অধিকতর বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকের পেঁয়াজের দাম সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এ হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী দেশি পেঁয়াজের প্রতি কেজি মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ঢাকার স্থানীয় বাজারে, এছাড়াও অঞ্চল ভেদে এই দাম কম বা বেশি হতে পারে। আর অন্যদিকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। বিশেষ করে ভারতীয় পেঁয়াজ, দেশি পেঁয়াজের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়বে না কমবে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না কমবে এ বিষয়টি নির্ভর করে পেঁয়াজের সরবরাহের উপর, অর্থাৎ কি পরিমান পেয়াজ বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের গুদামে রয়েছে তার ওপর নির্ভর করছে পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করার জন্য পেঁয়াজ মজুদ করছেন এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। আর তাছাড়াও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে আমদানিকৃত পেঁয়াজের পরিমাণের উপর। পেঁয়াজের আমদানি বেশি হলে দেশি পেয়াজের দাম কমবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। সর্বশেষ হালনাগাদঃ ৪ নভেম্বর ২০২৫
By using this site, you agree to our Cookie Policy .